নেদারল্যান্ডসের অ্যামস্টারডাম সর্ম্পকিত তথ্য
আমি আছি এখন অ্যামস্টারডামের পূর্ব দিকে একটা হোস্টেলে, যেটার নাম হচ্ছে জেনারেটর হোস্টেল। আর ফাটাফাটি একটা হোস্টেল মনে হয়েছে। আমি এসেই দেখি পার্টি হচ্ছিলো। গতকাল রাতে আমি পৌঁছেছি, সারাদিন রোমেনিয়া থেকে যাত্রা করার পর। তো আমার হোস্টেল থেকে বের হয়ে মূলত আমি মেট্রোর দিকে যাচ্ছিলাম। এবং যেতে যেতে একটা লোক আমার সাথে অনেকক্ষণ বাইসাইকেলে করে যাচ্ছিলো। মানে আমি হাঁটছিলাম, পাশে বাইসাইকেল চালাচ্ছিলো। প্রসঙ্গক্রমে, নেদারল্যান্ডসের সব জায়গায় বাই সাইকেল চালায় মানুষ। অ্যামস্টারডামে বিশেষকরে অনেক চালায়। কিন্তু বেশি বড় দূরত্ব আমি এখন কাভার করতে চাচ্ছি না, কারণ এখানে বাইসাইক্লিং এর লেভেল অনেক হাই। আর টুরিস্ট আস্তে গেলে সাধারণ মানুষ চেতে যায়। তো এটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এই লোকটা আমার পাশ দিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো কতক্ষণ ধরে। তারপর দেখি আমাকে সে মানে জিনিসপত্র বিক্রি করার চেষ্টা করছে। অর্থ্যাৎ গাঁজা বা অন্য জিনিস। যখন শুনলো যে একটা ফেস্টিভালে এসেছি। এখনও রৌদ্রোজ্জ্বল, ভাবলাম বের হয়ে কিছু করি বাইরে। আমি মূলত এখানে এডিই এর জন্য এসেছি। তো ভদ্রভাবে না বলি। ‘না না না না না।’ অনেক নাছোড়বান্দা ছিলো, বলে ‘না না না না এদিকে আসেন আমার সাথে।’ আমি বলি না, কিছু করবো না। তো যদি কখনো আপনাকে রাস্তায় এই রকম ধরে, আর নেদারল্যান্ডসে কিন্তু একটা সুনাম আছে। এখানে.অনেক এই টাইপের অপরাধ পুলিশ খুব একটা বেশি কিছু করে না। আসলে এটা তাদের দেশে নীতি। কারণ তারা বিশ্বাস করে যে, মানুষকে জেলে ঢুকানো মানের জেলের জায়গা নষ্ট করা। তো এখানে অনেক মানুষ আপনাকে টুরিস্ট দেখলে বিশেষ করে জিনিসপত্র বিক্রি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সব সময় না বলবেন। এটা হচ্ছে সেরা পরামর্শ আপনাকে দেওয়া আমার। এই দেশে বা এই শহরে বিশেষ করে আসার ব্যাপারে। শুরুতেই আমি যাবো মেট্রোতে। তো নেদারল্যান্ডসের ব্যাপারে দারুন জিনিস হচ্ছে 2023 সাল থেকে আলাদা ভাবে ট্যাপ কার্ড লাগে না। আপনার যদি শুধু একটা ক্রেডিট কার্ড থাকে, ক্রেডিট কার্ড এখানে ট্যাপ করলে অটোম্যাটিক ঢুকতে পারবেন। শুধু একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, বের হওয়ার সময় ক্রেডিট কার্ডটা আরেকবার ট্যাপ করবেন। না হলে আপনাকে সর্বোচ্চ অ্যামাউন্টটা চার্জ করবে, বের হওয়ার সময়। কারণ জানবে না আপনি কোন জায়গায় নেমেছেন।
তো আমি এখন এখানে সেন্ট্রোল স্টেশন থেকে বের হলাম। অ্যামস্টারডাম সেন্ট্রাল, যেটা এখানকার মেইন স্টেশন। আর এখানে আমি গতকালকে রাতে এসে পৌঁছেছিলাম, ব্রাসেলস্ থেকে একটা হাই স্পীড ট্রেনে করে। তিন ঘন্টা লেগেছে পুরোটা আসতে। এই জায়গাটা হচ্ছে অ্যামস্টারডামের ঐতিহাসিক যেই ওল্ড টাউনটা আছে, ওল্ড টাউনটার একদম মাঝখানে। অ্যামস্টারডোম আসলে 800 বছর আগে, 12 শতাব্দীতে মূলত ফিশিং ভিলেজ ছিলো। আগে এখানে কয়েকজন জেলেরা থাকতো আর মাছ ধরতো। কিন্তু পরে, কয়েকশত বছর পরে নেদারল্যান্ডস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। কারণ আশেপাশে এশিয়াতে বা ল্যাটিন আমেরিকা বা ক্যারাবিয়ান এর মতো অনেক কলোনি তারা গঠন করে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা কলোনি সম্ভবত ছিলো ডাচ ইষ্ট ইন্ডিস বা ইন্দোনেশিয়া। এবং খুব শক্তিশালী একটা নৌবাহিনী থাকে তাদের। যেটা দিয়ে তারা অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। এই জন্য একটা ছোট্ট দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আন্তর্জাতিক পরাশক্তি হয়ে উঠে। অ্যামস্টারডাম ছিলো ঐ সময়ে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় শহর। এই জন্য হয়ে উঠে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটা বা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটা বলতে পারেন। এবং অ্যামস্টারডাম শহরটা ছিলো ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রোডং পোর্টগুলোর মধ্যে একটা।
তো এখন আমি আছি অ্যামস্টারডামে. ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক শহরগুলোর মধ্যে একটা। এখানে মোট 700 টা ঐতিহাসিক বিল্ডিং আছে, যেগুলো রেজিস্ট্রার করা, ওল্ড টাউনের বিল্ডিং হিসেবে। তো আপনি ওল্ড টাউনের যেখানেই যান না কেন, এই রকম অনেক সুন্দর সুন্দর পুরনো রঙিন বাসাগুলো দেখতে পারবেন। রঙিন ডাচ আর্কিটেকচার সহ। অ্যামস্টারডামে অনেকগুলো ক্যানেল আছে, আর অনেকগুলো ব্রিজও আছে। আসলে 145টা ক্যানেল আছে এই শহরটাতে। আর ভ্যানিসে আছে মাত্র 150টা ক্যানেল। অ্যামস্টারডামকে অনেক সময় বলা হয় ‘ভ্যানিস অফ দ্য নর্থ’ বা উত্তর দিকের ভ্যানিস। আর ক্যানেল ঐতিহাসিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এই শহরের জন্য। কারণ শহরের বিভিন্ন জায়গাগুলোকে যুক্ত করতো এই ক্যানেলগুলো। যেখান দিয়ে মানুষ যেতে পারতো খুব সহজে।
আপনারা চাইলে একটা ক্যানেল ক্রজে উঠতে পারেন যেখানে আপনাকে এক ঘন্টা ধরে একটা বড় ক্যানেলে করে বা কয়েকটা ক্যানেলের মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়ে আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানগুলো দেখাবে, যেগুলো ক্যানেল থেকে দেখা যায়। বা চাইলে আপনারা একটা ক্যানিউ বা কায়াকিং জিনিসপত্র ভাড়া করে ওখানে গিয়ে আপনারা নিজেরা শুধু ক্যানিউ করে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এখন আমি এটা করছি না, কারণ আজ অনেক ঠান্ডা। 2 - 3 মাস আগে যখন আমি উৎরেক্ত এ এসেছিলাম নেদারল্যান্ডসের নিচে আরেকটা শহর। বেশি দূরে না, এখান থেকে 20 মিনিট ট্রেনে করে লাগে। তো ওখানে আমি আর আমার একটা বন্ধু নেদারল্যান্ডস থেকে ক্যানিউ করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে স্রোত ভালোই শক্তিশালী ছিলো। বার বার আমরা শুধু ডানদিকে গিয়ে আঘাত পাচ্ছিলাম। দেখে যত সোজা মনে হয়, আসলে ততোটা সোজা না ক্যানিউটা। ভালোই একটা ওয়ার্কআউট। ক্যানেলের ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আপনাকে মনে রাখতে হবে, অনেক মানুষ কিন্তু প্রতি বছর ক্যানেলে গিয়ে ডুবে মারা যায়। গড়ে প্রতি বছর 25 জন এবং যারা মারা যায় অধিকাংশই টুরিস্ট। এদের মধ্যে অনেকেই আবার মাতাল অবস্থায় ক্যানেলে বাথরুম করতে আসে। এসেই ক্যানেলের মধ্যে পড়ে যায়। আর পড়লে এখানে সমস্যা কী, আশেপাশে কোন সিঁড়ি বা মই কিছু নেই উঠানোর জন্য কারণ এখানে মানুষ নামার কথা না। আর অন্ধকারে এইসব খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন। তো অনেকজন এভাবে ডুবে মারা যায়। যদি এখানে আসেন এবং রাতে যদি বাথরুম করতে হয় তাহলে অবশ্যই নরমাল বাধরুম খোঁজার চেষ্টা করবেন। যদি বাথরুম না পান তাহলে একটা গাছের নিচে করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার সামন্য জরিমানা হবে। কিন্তু ক্যানেলের মধ্যে কিছু করতে যাবেন না। কারণ এখানে পড়লে ডুবে মরা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ঠান্ডা পানির মধ্যে।
অ্যামস্টারডামের রাস্তাগুলো অনেক সরু। কারণ এটা অনেক পুরানো একটা শহর। তাই রাস্তাগুলোও অনেক পুরানো। এবং এর মধ্যে দিয়ে গাড়ি, মানুষ, সাইকেল সব যাচ্ছে। তাই সাবধানে হাঁটবেন। যদি আমার মতো ফোনের দিকে বেশি তাকিয়ে হাঁটেন বা গুগল ম্যাপ দেখতে থাকেন তাহলে খুব ভালো একটা সুযোগ আছে আপনাকে একটা সাইকেল এসে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার।
আসলে এই শহরটা অনেক সুন্দর লাগে। আর আপনি একবার গেলেই বার বার যেতে ইচ্ছা করবে। আবার এটাকে ময়লার শহর বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও শহরটা বেশ সুন্দর। কিন্তু খুবই ইউনিক একটা ওল্ড স্কুল ডাচ সৌন্দর্য আছে এই শহরে, যেটা অন্য কোন জায়গায় আপনি পাবেন না।
এখন আমি অ্যামস্টারডামের পশ্চিম দিকে একটা মার্কেটে এসেছি, স্ট্রীট মার্কেট। যেটার নাম হচ্ছে নোডেরমার্ট। এটা শনিবারে খুলে এবং অনেক দারুন একটা মার্কেট হওয়ার কথা এখানে। ঢুকার সাথে দেখলাম মানুষ অনেক সুন্দর ফুল বিক্রি করছে। টিউলিপ ফুল, যেটা নেদারল্যান্ডসের একটা বিশেষত্ব। আর অনেক কাপড়ের ও জুয়েলারির দোকান আছে। সব মিলিয়ে মার্কেটায় সবকিছু আছে। দেখি কার্পেট, শাকসবজি এবং চিজ বিক্রিও করছে। নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় কোন খাবার নেই, কিন্তু একটা জিনিসের জন্য খুবই জনপ্রিয়। সেটার নাম হচ্ছে এখানকার চিজ। এই ফ্লি মার্কেটটাতে একটা দোকান পেয়েছি যেখানে মহিলা চিজ বিক্রি করছিলো। তো আমি বিভিন্ন ধরনের চিজ খেয়ে দেখলাম। তারপর একটা চিজের টুকরা আমাকে কেটে ছোট একটা টুকরা দিলো। যেটা ঠিক ছোট না, মানে বেশ ভালোই ওজন ছিল অর্থ্যাৎ 100 গ্রামের বেশি। পুরো সম্ভবত খাওয়া যাবে না। এটার নিল আমার কাছে সাত ইউরো। এখানে সিস্টেম হচ্ছে চিজের টুকরা কেটে মাপ দিয়ে তারপর বলবে চিজের দাম কত। আর এখানে দাম হচ্ছে প্রতি 100 গ্রামে 3.70 ইউরো।
তো আমি এতোক্ষণ যেই এলাকাটাতে ছিলাম, ওটাকে বলা হয় ইয়োর্দান জেলা অ্যামস্টারডামের। এবং ঐতিহাসিক ভাবে এটা ছিলো একটা শ্রমিক শ্রেণির মানুষের থাকার জায়গা। কারণ অন্য কোন জায়গায় তারা বাসা ভাড়াই বহন করতে পারতো না। কিন্তু এখন হাস্যকর ভাবে এটা হয়ে উঠেছে খুবই ফ্যান্সি একটা জেলা। অনেক সুন্দর সুন্দর আর্টের জিনিসপত্র, ফ্লি মার্কেট বা ক্যাফে আছে। তো আপনারা যদি অ্যামস্টারডামে আসেন, তাহলে পুরো সময়টা সেন্টারে না কাটিয়ে অ্যামস্টারডাম থেকে একটু দূরে বা সেন্টার থেকে একটু দূরে পশ্চিমে এই এলাকাটাকে একটু দেখবেন।
এটা হচ্ছে অ্যান ফ্র্যাঙ্ক বা আন্নে ফ্রাঙ্ক। যে ছিলো একটা ইহুদি বা জুইশ মেয়ে। সে 80 বছর আগে এখানে থাকতো। এবং হিটলার বা নাৎজি জার্মানি যখন এই এলাকাটাকে জয় করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তখন সব ইহুদিদেরকে মেরে ফেলে। তাদের মধ্যে একজন ছিলো এই মেয়েটা, আন্নে ফ্রাঙ্ক। সে এখন অনেক বিখ্যাত। সে মারা যাওয়ার পরে মূলত এটা হয়েছে।
তার একটা ডায়েরি ছিলো যেটায় সে ডকুমেন্ট করছিলো যে এখানে কী রকম জীবনযাপন ছিলো। কারণ অনেকদিন সে হিটলার বা নাৎজিরা উঠিয়ে নেয়ার আগেওে অনেকদিন তার বাসার একটা কোণায় লুকয়ি ছিলো, আরেকজনের বাসায়। তো ঐ সময় সে একটা ডায়েরী রেখেছিলো। আর শেষ পর্যন্ত এ ডায়েরী থেকে প্রকাশ পেয়েছিলো। ঐ সময়ের মানুষদের জীবনযাপন কী রকম ছিলো, ইহুদি মানুষদের অধীনে। তো এখানে এসে আপনারা বাসাটাকে দেখতে পারেন। ভিতরেও যেতে পারবেন কিন্তু এটার জন্য অনেক আগে থেকে রিজার্ভেশন করা লাগবে।
তো আমি আজকে রাতে যেই ফেস্টিভালটায় যাচ্ছি, মিউজিক ফেস্টিভাল। চিরাচরিত একটা ইউরোপিয়ান মিউজিক ফেস্টিভালের মতো না, যেখানে একটা জায়গার মধ্যে অনেকগুলো মঞ্চ থাকে। এটা পুরো অ্যামস্টারডামের মধ্যে ছড়ানো ছিটানো। বিভিন্ন ভেনুতে বিভিন্ন পার্টি হচ্ছে। তো মনে হচ্ছে এখন একটা পার্টির সামনে দিয়ে আমি হেঁটে যাচ্ছি কারণ দিনের বেলায়ও এখানে পার্টি হয়। অ্যামাস্টারডাম অনেকটা নাম করা খাবার যার নাম হচ্ছে স্ট্রপওয়াফেলস বা সিরাপ ওয়াপেলস। মানে একগাদা সিরাপ দিয়ে ভরা। আমাকে আমার একটা বন্ধু রেকোমেন্ড করেছে সামনে একটা দোকান আছে যেখানে অনেক ভালো স্ট্রপওয়াফেল পাওয়া যায়।
আরেকটা ডাচ ওপেন এয়ার মার্কেটে এসেছি। যার নাম হচ্ছে অ্যালবার্ট কাইপ। আর অনেকক্ষণ আগে যে স্ট্রপওয়াফেল খাওয়ার চেষ্টা করছিলাম এটা এখন খাবো। আপনারা হয়তো দেখতেই পাচ্ছেন স্ট্রপওয়াফেল। এই ওয়াফেলের মাঝখানে একটা সিরাপ দিয়েছে যেটা হচ্ছে ক্যারামেল, মাখন, বিভিন্ন মশলা দিয়ে বানানো। আর তার উপর হচ্ছে চকলেট টপিংটা খেতে হবে। আসলেই এটা খেতে অনেক সুস্বাদু।
এটা হচ্ছে একটা উইন্ডমিল। আর নেদারল্যান্ডস ঐতিহাসিক ভাবে এখানকার উইন্ডমিলের জন্য অনেক বিখ্যাত। অ্যামস্টারডামে এতোগুলো উইন্ডমিল নেই। শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটা আছে, তার মধ্যে এটা শুধু একটা। আর উইন্ডমিলের জন্য বিখ্যাত কারণ এই দেশের বেশিরভাগ জায়গা বাংলাদেশের মতো অনেকটা। সমৃদ্রপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি বা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচে। তো আগেরকার দিনে এখানকার কৃষকরা ছিলো তারা এখানে চাষ করার জন্য মূলত উইন্ডমিল ব্যবহার করে পানিটাকে বের করতো মাটি থেকে, যাতে চাষ করতে পারে। কিন্তু আজকাল কোন কিছু করা হয় না।
এরপর আমি আমার একটা নেদারল্যান্ডসের একটা খুব কাছের একটা বন্ধুর সাথে কিছু খাবার খেতে গেলাম। ক্রোকেত যার দাম তিন ইউরো বা 360 টাকা। আমাল বন্ধু মিখিয়েল, যে আমার সাথে শ্রীলঙ্কায় ছিলো। সে নেদারল্যান্ডসে থাকে। তো আমরা ফেস্টিভালে যাবো পরে। কিন্তু আগে আমরা ডাচ ফুড ট্যুর করছি। এটা সত্যিই অনেক ভালো ছিলো। ফ্রিকান্দেল বা বামই। এখানে সবজি জাতীয় কিছু। আর একটা খাবার হচ্ছে কাপ্সেলন যেটার দাম 8.50 ইউরো বা 1020 টাকা। মূলট এটা লেটুস পাতা এবং অন্যান্য কিছু দিয়ে বানানো। মূলত এই খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু।