শ্রীলঙ্কার সিগিরিয়া বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য দেখে এলাম - Sigiriya in Sri Lanka came to see the eighth wonder of the world

সিগিরিয়ায় প্রথম দিন

এখন বাজে পৌনে পাঁচটা। আমি একটা ট্যাক্সিতে করে সিগিরিয়া যাচ্চি। যেটা হচ্ছে সবার ভাষ্যমতে পুরো শ্রীলঙ্কার মধ্যে সবচেয়ে বড় অ্যাটরেকশন। একটা খুবই চমৎকার সাইট হওয়ার কথা। কিন্তু আমি কখনো আগে যাইনি। আমি বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় আছি। এবং গত তিন বছরে আমি তিনবার শ্রীলঙ্কায় েএসেছি। আর সর্বমোট আমি ছয় মাসের মতো কাটিয়েছি। কিন্তু তারপরও কখনো এই জায়গায় যাওয়া হয়নি। কারণ ভাবে ছিলাম যখন যাবো তখন একটা ব্লগ ও ভিডিও বানাবো। সাধারণত আমি শ্রীলঙ্কায় আসলে দক্ষিণ দিকে থাকি। যেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর অনেকগুলো বীচ আছে। আর অনেকগুলো সাফিং করার জায়গা আছে। আর ওটা একটু সিগিরিয়া থেকে দূরে দেখে কখনো আসা হয়নি। কিন্তু এবার অবশেষে এটাকে আমি দেখবো এবং আপনাদেরকে দেখাবো এবং এই জায়গাটার খুবই মুগ্ধকর একটা ইতিহাস আর গল্প আছে, ওটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। 


আমি এখন হোস্টেলে পৌঁছালাম, ছয় ঘন্টা যাত্রা করার পর। এক কাপ চা খাচ্ছি। এবং এই হোস্টেলটা হচ্ছে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা হোস্টেল। এটার নাম হচ্ছে ট্রিহাউজ হোস্টেল। আক্ষরিক অর্থে, গাছের উপর বাসা। মানে বাহিরে একটা জায়গা। এখানে হোস্টেলের ডর্মটা দেখছেন। আশেপাশে গাছে পোকামাকড়ের সব শব্দ শোনা যাচ্ছে। তো এটা হচ্ছে এখানকার অবস্থা। তো আমি এখন ঘুমাতে যাবো। তারপর ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা জায়গাটাকে আসলে এক্সপ্লোর করবো।


সিগিরিয়ায় দ্বিতীয় দিন

তো এখন বাজে সকাল 7:25টা। আর আমি মূলত এখনই ঘুম থেকে উঠলাম। এই ট্রিহাউজে থাকার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে যে আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠবেন, এই রকম একটা দৃশ্য বিছানার পাশে দেখে। কিন্তু একটা সমস্যা আছে। যদি আপনি আমার মতো ইঁদুরকে ভয় পান, তাহলে আপনি ভোর রাতে বাথরুম করতে গিয়ে ইঁদুর দেখবেন। এবং ওটার ভয়ে সারারাত জেগে থাকবেন। তাই ঐ জন্য আমার ঘুম হয়নি। এখানকার মানুষগুলো ভালো, স্টাফ অনেক ফ্রেন্ডলি। কিন্তু ইঁদুর থাকাটা আমার জন্য ভয়ের ব্যাপার।


তো এখন আমরা সিগিরিয়ার একদম মাঝখানে যাচ্ছি। আচ্ছা, তো কোথায় আছি ঐটা নিয়ে একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট দেয় আপনাদেরকে। সিগিরিয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কার একদম মাঝখানে কেন্দ্র্রীয় প্রদেশের দাম্বুলা নামের একটা শহরের পাশে। এটা খূবই একটা গুরুত্বপূর্ণ সাইট, প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে বা ঐতিহাসিক ভাবে যদি বলেন। এটা আসলে অনেক বড় একটা কমপ্লেক্স। চারদিকে অনেক কিছু আছে।


কিন্তু একদম মাঝখানে হচ্ছে একটা 180 মিটার বা 60 তলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু একটা গ্রাফাইটের পিলারের মতো পাথর। যেটাকে বলা হয় লায়ন রক এবং আজকে আমি ঐ লায়ন রকের ভেতরে ঢুকতে যাচ্ছি।

তো প্রথমে গিয়ে গেইট থেকে টিকেট কিনতে হবে। তো লায়ন রক এর জন্য টিকেট কিনলাম। সাধারণত এটার দাম পড়ে 35 ডলার। কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে হন বা সাউথ এশিয়ার অন্য কোন দেশ থেকে হন সার্ক একটা দেশ তাহলে প্রায় 50% ডিস্কাউন্ট পাবেন। তো পাসপোর্ট আনতে ভুলবেন না, এখানে িযদি আসেন।


নয়টাও বাজে নাই, এখানে ভয়ানক গরম। দিনের মাঝখানে আরো অনেক খারাপ হওয়া উচিত এটার। মূল লায়ন রকে যাওয়ার আগে এই রকম রাস্তা মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এখানে আশেপাশে আপনারা  দেখতে পারবেন পুরানো যেই বিল্ডিংগুলো ছিলো, সেই বিল্ডিংগুলো ধ্বংসাবশেষ। আর খুবই স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে এখানে মানুষ থেকে আসছে।

এই এলাকাতেই এই লায়ন রকের পূর্বদিকে একটা জায়গা আছে। যেখানে মানুষ নিশ্চিতভাবে তিন হাজার আগেও থাকতো। এবং এখানে আশেপাশে বেশ কয়েকটা গুহা আছে যেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা অন্তত তিনশত খ্রিস্টপূর্ব থেকে বা দুই হাজার তিনশত বছর আগে থাকতো।


সামনে লায়ন রকের প্রথম পরিষ্কার দৃশ্য দেখছি। এবং এই পথটা উঠতে গিয়ে ঘামে অবস্থা খারাপ হবে এখনই বুঝছি। শেষমেশ সিগিরিয়ার ঘাঁটিতে এসে পৌছেছি এবং দেখতে এটা দারুন লাগছে এখন আশেপাশে। এবং এই জায়গা থেকে মনে হয় পুরাপুরি সিঁড়ির উপর দিয়ে যাবো। একটু গাছপালায় ভরা একটা ছায়াময় জায়গার মধ্যে এসেছি। আরাম লাগছে একটু বাতাস পেয়ে। এখন একদম রকটাতে পৌঁছে গিয়েছি। 


এখন সিঁড়ি দিয়ে একদম পাশ দিয়ে উপরে উঠতে হবে। প্রায় উপরে পৌঁছেছি, পুরোপুরি না। কিন্তু এখান থেকে সামনের দৃশ্যটা অনেক সুন্দর। তো এই শেষের অংশটুকুতে উঠার আগে সামনেই দেখবেন একটা সিংহের পায়ের ভাস্কর্য। এক পাশে পুরোটাই একটা সিংহের ভাস্কর্য ছিলো। কিন্তু গত  এক হাজার বছরে সিংহের মুখ সব ঝড়বৃষ্টিতে উঠে গিয়েছে।


তো উপরে উঠার পথটুকু রোদের মধ্যে আরও অনেক বেশি তীব্র লাগছে। যদি পারেন, ভোরবেলা আসবেন। তো মূলত এশিয়ার যেকোনো জনপ্রিয় টুরিস্ট অ্যাটরেশনে গেলে যা দেখবেন ওটাই দেখছি।


তো এখন এই জায়গাটার ইতিহাস নিয়ে একটু কথা বলি। তো কিভাবে এই জায়গা এখানে তৈরি হল? এবং এতো সুন্দর একটা আর্কিটেকচারাল কমপ্লেক্স কেনো এখানে  এক হাজার পাঁচশত বছর ধরে আছে।  তো এখানকার ইতিহাস নিয়ে আমি যাই বলবো, ওটা একটু মানে সর্তকতার সাথে বিশ্বাস করবেন। কারণ কী হয়েছিলো এখানে এটার বেশ কয়েকটা সংস্করণ আছে। 477 সালে এখানকার রাজার একটা ছেলে ছিলো কাশিয়াপা রাজকুমার। কিন্তু তার এই পুরো রাজ্যের উত্তরাধিকারী হওয়ার কথা ছিলো না। কারণ তার মা মনে হয় অধিকারীরূপে রাজ পরিবার থেকে ছিলো না। তাই সে জোর করে তার বাবার রাজত্বকে দখল করে ফেলে। এবং যে সঠিক উত্তরাধিকারী ছিলো, মানে যার প্রকৃত রাজা হওয়ার কথা ছিলো সে এখান থেকে পালিয়ে ভারত চলে যায়। তো সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর রাজা কাশিয়াপা। এই পুরো কিংডমের বা রাজত্বের রাজধানীকে আনুরাধাপুরা থেকে সরিয়ে সিগিরিয়ায় নিয়ে আসে। কারণ সে মনে করে এটাকে রক্ষা করা আরো সহজ।


এখানে আশে পাশে আপনি যত বড় বিল্ডিং দেখবেন বা দূর্গ যাই দেখেন বেশিভাগ পরবর্তী 18 বছরের মধ্যে বানানো হয়েছিলো, যখন এটা ছিল পুরো রাজত্বের রাজধানী। কিন্তু 18 বছর পরে 495 সালে মাগাল্লানা, যে সঠিক উত্তরাধিকারী ছিলো, যেই রাজকুমারের আসল রাজা হওয়ার কথা ছিলো। সে ভারত থেকে ফেরত আসে এবং এসে এই কাশিয়াপার সাথে একটা যুদ্ধ করে সেই যুদ্ধ জিতে এই রাজত্বটাকে দখল করে ফেলে আবার। এবং তারপর রাজত্বটাকে আবার সরিয়ে আনুরাধাপুরায় নিয়ে যায়। রাজা কাশিয়াপা কীভাবে মারা গেছে তা নিয়ে বেশ কয়েকটা সংস্করণ আছে। কেউ কেউ বলে ঐ যুদ্ধের সময় তার নিজের সৈনিকগুলো তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তারপর সে তলোয়ার দিয়ে আত্মহত্যা করে। কেউ কেউ বলে এই জায়গাটা ছিলো একটা বিলাস ভবন, এই রাজার জন্য। এবং তার উপপত্নীগুলেঅর মধ্যে একজন তাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলে। ঠিক কী হয়েছে এটা কেউ জানে না ঠিক মতো। এবং 1500 বছর পর এটা জানাও খুবই কঠিন। কিন্তু এইটুকু নিশ্চিত যে 495 সালে আনুরাধাপুরা আবার হয়ে যায় এখানকার রাজশানী। তো এটার রাজধানীর পদমর্যাদা হারিয়ে ফেলার পরে মূলত একটা বৌদ্ধ আশ্রম হয়ে যায়। এবং একটা বৌদ্ধ আশ্রম হিসেবেই ছিলো 13 বা 14 শতাব্দী পর্যন্ত। এবং তারপর এই জায়গাটার খুব একটা বেশি ঐতিহাসিক রেকর্ড নেই। 16 বা 17 শতাব্দী পর্যন্ত গিয়ে যেই সময় এটা একটা ক্যান্ডির রাজত্বের একটা ঘাঁটি হিসেবে সেবা দিচ্ছিলো।


মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনারা যারা রামায়ানার ব্যাপারে জানেন অনেক হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে এই সিগিরিয়া দূর্গটা ছিলো রাভানা বা রাবনের দূর্গ।

উপর থেকে দৃশ্যটা আসলেই চমৎকার, যদিও রোদের মধ্যে চোখ খুলে রাখা একটু কঠিন। কিন্তু নিচে পেছনে আমি দেখতে পাচ্ছি  যে পথটা দিয়ে আমি এসেছিলাম এখান থেকে 200 মিটার নিচে। এই জায়গাটার ব্যাপারে খুবই হৃদয়স্পর্শী একটা জিনিস হচ্ছে এখানকার আর্কিটেকচার। কারণ এই জায়গাটাকে বানাতে যে লেভেলের হিসাব করতে হয়েছিল বা যেই লেভেলের স্থাপত্য জ্ঞান দরকার ছিলো ঐটা ঐ সময়ে খুবই কম মানুষেরই ছিলো প্রায় 1500 বছর আগে। আর এই জন্য এটাকে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট বলা হয়। এবং এটা একটা UNESCO হেরিটেজ সাইট হিসেবে মনোনীত করা। উপর থেকে জায়গাটা দেখতে আসলে অনেকটুকু পাহাড়পুরের মতো মনে হয়। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এটা 200 মিটার বা 60 তলা উপরে। 

তো এই হাইকের পর গরমে ক্লান্ত হয়ে সারাদিন ঘুমাচ্ছিলাম। তারপর এখন ঘুম থেকে উঠে সূযাস্তের জন্য একটা ছোট ভিউপয়েন্ট এসেছি। লায়ন রকের ঠিক পাশে। এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু ভালোই মেঘলা একটা সূর্যাস্ত।


এই সূর্যাস্তের রংগুলো একদম মাথা নষ্ট হওয়ার মতো এখন লাগছে। দিনটার একটা  খুবই সুন্দর শেষ হলো।

সিগিরিয়ায় তৃতীয় দিন

তো দেখছি একটা ইঁদুর এসে আমার ব্যাগের মেসটুকু খেয়ে ফেলছে। নতুন ব্যাগ, তাই একটু বিরক্তিকর লাগছে। যদি আপনারা এখানে আসেন, তাহলে অবশ্যই সাবধানে থাকবেন এই জিনিসটা নিয়ে।

এখন সকাল 10:00 টা বাজে। তো আজকে বেশি রোদের মধ্যে এখন না গিয়ে আরেকটু পরে রোদ কমে গেলে তারপর যাওয়ার চেষ্টা করবো। এই সিগিরিয়ার মধ্যে আমার শেষ হাইকটাতে। গতকালকে গরমের মধ্যে ঘেমে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। তো আজকে এই জায়গায় ফ্রি নাস্তা দিচ্ছে। আর আজকে হপার দিয়েছে। কখনো চকলেট হপার আগে খাইনি। তো এটা খেয়ে দেখি Nocilla এর স্যান্ডউচের মতো স্বাদ। অতো ভালো লাগে নি।


তো এখণ বিকাল পাঁচটা বাজে। আর সারাদিন আমি বাসায় বসে ছিলাম। এখন আমি যাচ্ছি সিগিরিয়ার সেরা ভিউপয়েন্টে। তো এখানেও অনেক সিঁড়ি দেখছি, সিগিরিয়ার মতো ঠিক। কিন্তু এটা একটু জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একদম। সিগিরিয়া যেমন খোলামেলা, একদম পাথর ঐরকম না। তো এই পর্যায়ে সিঁড়ির থেকে বেশি পাথর চড়ছি। প্রথম পশুপাখি দেখা গেলো একটাদ, বানর। এটা ভালোই ক্লান্তিকর হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, এই আরোহণটা।


তো একটা পয়েন্টে পৌঁছেছি, যেখানে আমার পেছনে একটা হেলান দেয়া বৌদ্ধর মূর্তি। ঠিক ব্যাংককে যেই মূর্তিটা দেখিয়েছিলাম, ঐটার মতো দেখতে অনেকটা ঐ ভঙ্গীতে। আর আরেকপাশে গাছপালা একটু কম আছে, তাই সামনে এই চমৎকার দৃশ্যটা দেখতে পাচ্ছি।


তো এই অংশটা আসলে রক ক্লাইম্বিং এর মতো। তার মানে অন্ধকার হওয়ার আগে নিচে নামতে হবে। পাহাড়ের মধ্যে একটু ট্রাফিক জ্যাম লেগেছে মনে হচ্ছে।


তো লায়ন রক আবার দেখা যাচ্ছে। আর এটা হচ্ছে সেই বিখ্যাত ভিউপয়েন্ট যেটা সবাই দেখতে আসে। পেছনে বজ্রপাত ব্যাকগ্রাউন্ডে। তো ঐদিকে দূরে বৃষ্টি একটু হচ্ছে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পাহাড়টা আরেকটু উপরে উঠলেই আরেকটা ভিউপয়েন্ট পাবেন, যেটায় অতোটা ভিউ নেই। আমার মতে এই জায়টায় দৃশ্য লায়ন রক থেকে সুন্দর।


জীবনে অনেক কিছুর মতোই একটা জিনিসকে ভালো করে দেখতে হলে ঠিক ঐটার কাছ থেকে না, মাঝে মাঝে একটু দূরের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হয়।


তো বিছিন্ন জায়গা পেয়েছি এখানে। পাথর বেয়ে বেয়ে একটু নামতে হয়। তাই বেশি মানুষ নামছে না।এখানে লাইটিংটা আরো সুন্দর হচ্ছে প্রতি মিনিটে । কিন্তু সূর্যাচ্ছে হতে 20 মিনিট বাকি, তো এখনই এখান থেকে চলে যেতে হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে এটাকে কি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বলা যায়?

আমি ব্যক্তিগতভাবে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য যেগুলোকে বলা হয়, তার মধ্যে মাত্র চারটিতে গিয়েছি। এবং সাতটিতেও যদি যেতাম তাহলে কীভাবে ক্রমে সাজাবো এটার কোন ধারণা আমার নেই। কিন্তু একটা জিনিস অবশ্যই বলতে পারবো এই জায়গাটাকে দেখে আমার যেই অবাস্তব অভিজ্ঞতাটা মনে হয়েছে, এটা আমি অন্য যেই ওয়ান্ডারগুলোতে গিয়েছি ঐ অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে অনেকটা তুলনীয়।

নবীনতর পূর্বতন